চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার তারানিবাস গ্রামের যুবক রাজিব স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে বেড়াতে যায়।
কিন্তু ১১ দিন অতিবাহিত হলেও রাজিব ফিরে আসেনি নিজ পরিবারে।অন্যদিকে স্ত্রী ও শ্বশুর পরিবারও জানে না রাজিব কোথায় আছেন।
এদিকে ঘটনাস্থল জটিলতায় নিখোঁজ রাজিবের পরিবারের জিডি গ্রহন করেনি জীবননগর ও কোটচাঁদপুর থানা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রাজিব নিখোঁজ নাকি গুম হয়েছে সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন রাজিবের পরিবার।
জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের তারানিবাস গ্রামে প্রান্তিক কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন,আমার ছেলে রাজিবের(২১) সাথে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ জেলা কোটচাঁদপুর উপজেলার বলনগর গ্রামের লালু মিয়ার মেয়ে রাবিয়া খাতুনের।
নানা কারনে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই থাকে।এই অবস্থায় আমার উক্ত ছেলে রাজিব গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তার স্ত্রী রাবিয়াকে নিয়ে আমার বাড়ী থেকে তার শ্বশুর বাড়ী বলনগরে যায়।পরবর্তীতে আমার ছেলে ফিরে না আসায় আমি ২৩ ফেব্রুয়ারি সেখানে ছেলে খুঁজতে যাই।
কিন্তু রাজিবের স্ত্রী আমাকে জানায় রাজিব কোথায় আছে সে জানে না। অন্যদিকে আমর ছেলের মোবাইল ফোন ০১৯৮৭-৪৬৮৬৪৪ নম্বরের সংযোগও বন্ধ। ফলে ছেলের অবস্থান কি তা আমরা জানতে পারিনি।
আমার ছেলে নিখোঁজ হলেও আজ পর্যন্ত তার স্ত্রী কিংবা তার শশুর বাড়ী থেকে আমাদের কাছে ফোন কিংবা অন্য কোন ভাবে খোঁজখবর নেয়া হয়নি। আমার ছেলে নিখোঁজ হয়েছে নাকি তাকে গুম করা হয়েছে তা নিয়ে আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি।
ঘটনার ব্যাপারে থানায় জিডি করতে গেলে জীবননগর থানা বলছে ঘটনাস্থল কোটচাঁদপুর থানা এলাকায়, জিডিও সেই থানায় হবে। আবার কোটচাঁদপুর থানায় গেলে তারা বলছে ঘটনাস্থল জীবননগর,তাই জিডি জীবননগর থানায় হবে।
দুই থানা কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্যে আমি এখনও ছেলে নিখোঁজের ব্যাপারে জিডি করতে পারিনি।হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন,ঘটনার বিষয়ে আমার সাথে রাজিব বাবা নজরুল ইসলাম আলোচনা করেছেন। আমি তাকে থানায় জিডি করার পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু শুনছি থানা জিডি নেয়নি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) স্বপন কুমার দাস বলেন,রাজিব তার শ্বশুর বাড়ীতে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছে। বিধায় ঘটনাস্থল কোটচাঁদপুর থানা এলাকায়।
সে কারণে রাজিবের পিতাকে আমরা কোটচাঁদপুর থানায় জিডি করার পরামর্শ দিয়েছি।