চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় মতেহার আলী(৭৫) নামের এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তিনি এখন মৃত্যু পদযাত্রী। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের কৃষক মতেহার আলী
১ অক্টোবর জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা ভ্যাকসিনে বুস্টার ডোজ/তৃতীয় মাত্রা গ্রহন করেন। তিনি ওই দিন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা মতেহার আলীকে চিকিৎসকের নিকট নিয়ে তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তাতে তিনি সুস্থ্য হওয়ার পরিবর্তে দিনে দিনে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তার গায়ে এক ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে শরীর থেকে চামড়া উঠে যেতে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যরা তাকে মারাত্মক অসুস্থ্য অবস্থায় শুক্রবার রাতে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসকেরা তাকে প্রাথমিক পরিক্ষা নিরিক্ষার পর তিনি করোনা টিকা গ্রহণের কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছেন বলে সনাক্ত করেন। তার চিকিৎসা জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্ভব নয় জানিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করেন।পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার বৃদ্ধ মতেহার আলীর ছেলে মশিউর রহমান বলেন,আমার আব্বকে জ্বর অবস্থায় ১ অক্টোবর জীবননগর হাসপাতাল থেকে করোনার তৃতীয় মাত্রার/বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়।
জ্বরের ব্যাপারটি আমরা সে সময় গোপন রেখেছিলাম।ভ্যাকসিন দেয়ার পর জ্বর আরো বেশী হয় এবং গায়ে এলার্জির মত ফোটা ফোটা বের হতে থাকে। আমরা তাকে ডাক্তারের নিকট নিই। ডাক্তার তাকে অ্যান্টিবায়োটিক ও জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল দেয়। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয় না। এক আব্বার গায়ের চামড়া পোড়া পোড়া হয়ে ফুলে চামড়া উঠে যেতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা শুক্রবার রাতে জীবননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে পরিক্ষা করে বলেন করোনা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। আব্বার অবস্থা ভাল নয়।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.ইয়াসিন আরাফাত বলেন,মতেহার আলী নামের রোগীকে চিকিৎসা কালে বুঝতে পারি তিনি করোনা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত। আমাদের জানা শোনায় ও হিষ্টরি মোতাবেক এমন রোগী দশ লক্ষে একটি পাওয়া যায়। রোগীর পরিবারের সদস্যরা তাকে তাৎক্ষণিক ভাবে হাসপাতালে না নিয়ে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীর পরিবারকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছি।