চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন ঝোরঘাটা গ্রামের মোঃ জুলহাস (২৫) এবং দামুরহুদা থানাধীন দশমীপাড়া গ্রামের জেসমিন খাতুন (২২) ইসলামী শরীয়া মোতাবেক ২০১৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।তাদের সংসার জীবনে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সুখে স্বাচ্ছন্দে চলছিল তাদের সুখের সংসার। হঠাৎ বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মোঃ জুলহাস তার স্ত্রী জেসমিন খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে জুলহাস ও তার পরিবারের লোকজন জেসমিন খাতুনকে শরিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
জেসমিন খাতুন বিষয়টি তার পিতা মোঃ মহর আলীকে জানালে তিনি মেয়ের সুখের চিন্তা করে কিছু টাকা দেয়। সেই টাকা জুলহাস কুপথে বিপথে নষ্ট করে পুনরায় জেসমিন খাতুনের উপর শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
অসহায় জেসমিন খাতুন তার সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।জেসমিন খাতুন ও তার পিতা বিভিন্ন জায়গায় তাদের সমস্যার সমাধান চেয়ে যোগাযোগ করেও কোন উপায়ন্ত না পেয়ে।অবশেষে তারা মান্যবর পুলিশ সুপার জনাব জাহিদুল ইসলামের নিকট শরনাপন্ন হয়।
পুলিশ সুপার মহোদয় উক্ত বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর দায়িত্ব প্রাপ্ত এএসআই (নিরস্ত্র) মিতা রানী‘কে দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে অদ্য ১৭.০২.২০২২ তারিখে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন।
পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম বিপিএম-সেবা এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতা ও নির্দেশনায় মোঃ জুলহাস তার স্ত্রী মোছাঃ জেসমিন খাতুুনের সাথে পুনরায় সংসার করতে সম্মত হয়।
অবশেষে স্বামী স্ত্রী তাদের ভুল বুঝতে পারে। একপর্যায়ে তারা ফিরে পায় তাদের সুখের সংসার এবং অবুঝ শিশুটি ফিরে পায় তার বাবা-মাকে।