ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক যাত্রীকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে কয়েকশ যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল এমভি অভিযান। রাত ৩টার দিকে সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া গ্রামের কাছে এলে ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে লঞ্চটি দিয়াকুল এলাকায় নদী তীরে নোঙর করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, রাত ৩টা ২৮মিনিটে তাদের কাছে অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে। তাদের কর্মীরা ৩টা ৫০ মিনিটে সেখানে পৌঁছে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। ট্রলার নিয়ে লঞ্চের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তারা।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক বলেন, এ ঘটনায় শতাধিক দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঝালকাঠি, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এখনো চলছে উদ্ধার অভিযান। কিন্তু ভোরে ঘন কুয়াশার মধ্যে তাদের কাজ ব্যাহত হয়।
এই ঘটনায় গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন।
নেতৃবৃন্দ এই ঘটনায়, নিহত পরিবারের সদস্যদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ , আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও যথাযথ পূর্নবাসন প্রক্রিয়া এবং ঠিক কি কারণে এই ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটল তা অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন ও তা বিশ্লেষণ করে যথাযথ বিচার ব্যবস্থার দাবি তোলেন।