দেশের প্রধান ক্রীড়াভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে। প্রায় একশ কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শেষ হতে আরো বছরখানেক লেগে যেতে পারে। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) মাঠের কাজটা দ্রুত শেষ করতে তাগাদা দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে।
মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাফুফে কর্মকর্তারা সরেজমিনে স্টেডিয়ামের মাঠের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তদের সঙ্গে ছিলেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ। তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তদের আগামী তিন মাসের মধ্যে মাঠ, ড্রেসিংরুম ও মিডিয়া সেন্টার তৈরি করে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
মাঠ পরিদর্শন শেষে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের অংশ হিসেবে আমাদের প্রধান যে অংশ মাঠ সেটা আজ সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের মাঠ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি মাঠ এবং মাঠের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সাজঘর ও মিডিয়া সেন্টার যেন দ্রুত তৈরি করে দেওয়া হয়।’
ঘরোয়া অনেক খেলা চলছে তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের অবহিত করে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের কাজ পুরোপুরি শেষ করতে আরো সময় লাগবে। বছরখানেক লেগে যেতে পারে। ঘরোয়া অনেক খেলাধুলা চলছে। সেগুলো আয়োজন করতে গিয়ে আমরা সমস্যায় পড়ছি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে অনুরোধ করেছি আগামী দুই থেকে তিন মাসের কাজ শেষ করা হয়।’
দ্রুত মাঠের কাজ শেষ করতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটা টিম হয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন মো. আবু নাইম সোহাগ, ‘যারা মাঠের কাজ করবেন তারা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের সামনে বলেছেন, যদি দ্রুতও কাজ শুরু করা হয় তাহলে তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে শেষ করতে। আমরা বলেছি, আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে।’
‘মাঠ প্রস্তুতকরণের সঙ্গে যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের সঙ্গে বাফুফের দুইজন কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক বিষয়টি মনিটর করবে। আমরা একটা টিম হয়ে কাজ করবো। যাতে মাঠটি সঠিকভাবে এবং উন্নতভাবে তৈরি হয়। মাঠে ড্রেনেজ সিস্টেম, ঘাস-সবকিছু যেন সবচেয়ে মানসম্মতভাবে হয় সেটা আমরা দেখবো’-যোগ করেন আবু নাইম সোহাগ।