প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্জনগুলো নস্যাৎ করতে দেশি ও আন্তর্জাতিক গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শুভেচ্ছা জানাতে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, খুব স্বাভাবিকভাবে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বা যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। যেন আমাদের অর্জনগুলো নস্যাৎ না হয়, সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যারা বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের চিন্তা করে। বাকিগুলো লুটেরার দল। তারা এদেশের মানুষের কল্যাণের চিন্তা করে না। সে কথা মাথায় রেখে ওই সন্ত্রাসী খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের দল যেন আর বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে সবাইকে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানাই।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা ছিল রীতিমত ভোট ডাকাত তারাই এখন গণতন্ত্র চায়! ভোটের অধিকারের কথা বলে। যাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে তাদের কাছে শুনতে হয় এসব কথা। এগুলো মাঠের কথা মাঠে থাকবে। আমরা জনতার সঙ্গে থাকব, জনতার পাশে থাকব। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের আস্থাই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে তাদের ভোটের মাধ্যমেই তো আমরা সরকারে এসেছি। তাদের বিশ্বাস-আস্থাটাই আমাদের একমাত্র শক্তি। আর কোনো শক্তি নেই। বাংলাদেশের জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র বন্ধু।
তিনি বলেন, যেখানে ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা হতো, সেখানে ছবিসহ ভোটার তালিকা ও আইডি কার্ড করা হয়েছে। নির্বাচনী পদ্ধতিকে সংস্কার করে নিয়ে আসা বা মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন- এগুলোও তো আওয়ামী লীগেরই করে দেওয়া। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স সবই করে দিয়েছি আমরা। তারপরও কেউ কেউ আমাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের ছবক দিতে আসে।