একাধিক বিয়ে হলেও মোর্শেদা বেগম নিজেকে অনেক সময় কুমারী দাবি করেন। বিত্তবান পরিবারের যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে অর্থ আদায় করা মোর্শদা বেগমের নেশা এবং পেশা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অনেক সময় নিজের নাম ঠিকানা গোপন রেখে কাবিন নামায় ভূয়া ঠিকানা দিয়ে বিয়ে করে থাকেন তিনি। সাংবাদিকদের কাছে এমনই এক চাঞ্চল্যকার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন সর্বশেষ তার ফাদে শিকার হওয়া মোরশেদ আলী।
মোরশেদ আলী আশুলিয়ার ভাদাইল পবনারটেক এলাকার মৃত সমর আলীর ছেলে। এবং মোর্শেদা বেগম (৩৫) বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার গরিয়া- বুনিয়া গ্রামের আঃ কাদের মাস্টারের মেয়ে।
মোরশেদ আলী বলেন শুধু আমি নয় আমার মত আরও অনেকেই মোর্শদার ফাদে পরে সর্বশান্ত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে বিয়ে ব্যবসায়ী মোর্শেদা বেগমে ফাঁদে পরেছে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলার আবদুল বাসার ও গোপালগঞ্জ মকসুদপুর উপজেলার আবুল বাশারসহ আরও একাধিক পুরুষ।
তথ্যমতে মোর্শেদা প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রায় পনের বছর পূর্বে বিয়ে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোঃ জিন্নাহ, বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটান তিনি।
এরপর একই কৌশলে গোপালগঞ্জ মকসুদপুরের জিন্নাহ ইসলাম’র সাথে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সেখানে একটি পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু তার এহেন চরিত্রের সংবাদ ২য় স্বামী জিন্নাহ ইসলাম জানতে পারেন। পরবর্তীতে পরিবারের নানা অশান্তি সৃষ্টি হলে সেখানেও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
তারপর ও থেমে নেই মোর্শেদা বেগম, আবারও নতুন শিকারের খোজে পারি জমান আশুলিয়ার ভাদাইল পবনারটেক পাঠাগার মোড়ে।
এবার ভিন্ন কৌশলে গার্মেন্টস কর্মীবেশে বাসা ভাড়া নেন বৃত্তবান মৃত সমর আলীর ছেলে মোরশেদ আলীর বাড়িতে। শুরু হয় তার নতুন প্রতারণা। সেখানেও তাঁর কৌশল আর রুপ যৌবনের লালসায় ফেলে শিকার করেন বাড়ির মালিক বিবাহিত মোরশে আলীকে।
বাড়ির মালিক বিবাহিত জেনেও প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে, ইসলাম শরিয়ত মোতাবেক বিয়েও করেন মোরশেদ কে। বিয়ের পর পরেই শুরু করেন কাবিনের টাকা আদায় সহ বাড়ি দখলের নানা কৌশল।
মোরশেদ আরো জানান আমাদের একটি ৪ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের এক বছর পর থেকেই সংসার ভাংগার নানা তালবাহানা শুরু করেন মোর্শেদা, কোন কারণ ছাড়াই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ ঝগড়া মারামারি করতে থাকে সবসময় ।
এবং কথায় কথায় ২০ লাখ দিয়ে ছেড়ে দিতে বলেন তাকে। এবং কি প্রায় সময় আমাকে মেরে ফেলা ও মিথ্যা মামলার হুমকি দেন। এমতাবস্থায় আমি তাকে না পারি রাখতে, না পারি ছাড়তে, কারণ দীর্ঘ ৮ বছর পূর্বে আমি তাঁকে ইসলাম শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করি। তখন কোন প্রকার ভলিউম বা কাবিন নামা করা হয় নাই। এখন কাবিন করার কথা বললে সে নগদ ২০ লাখ টাকা চায়, তা না হলে ধর্ষন মামলায় আমাকে ফাঁসিয়ে দিবেন বলে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়।
তাঁর এরকম আচরণ আমি সহ্য করতে না পেরে গত-০৮/০৩/২৩ তারিখে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করি,যাহার নং-৭১০ ও তদন্ত অফিসার এস আই মোঃ আফজাল হোসেন। ঘটনার বিষয় মোর্শেদা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পূর্বে আমার বিয়ে হয়েছিল ঠিকই কিন্তু অনেক গুলো নয়। তাছাড়া আমার এবং আমার ছেলের একটা ভবিষ্যত আছে। তাই আমাকে ছাড়তে হলে কিংবা নতুন করে কাবিন করতে হলে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে।