কুড়িগ্রাম পৌরসভার পলাশবাড়ী এলাকার পঁয়ষট্টি ছুঁই ছুঁই জহর উদ্দিন। তিনি ২৭ বছর পর গ্রামের বাড়ি ফিরে এসেছেন।
১৯৯৪ সালে স্ত্রী জাহেদা বেগমের সাথে মনোমালিন্য হয় জহরের। রওনা দেন অজানার উদ্দেশে। ভেঙে ভেঙে একপর্যায়ে পৌঁছে যান যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজারে।
সেখানে নগেন্দ্রনাথ নামে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয়। তিনি কৃষিজমিতে কাজের শর্তে জহরকে নিয়ে যান বাড়িতে। নিজের নাম পাল্টে হয়ে যান বাচ্চু মণ্ডল। সেই থেকেই তার শুরু হয় যশোর অধ্যায়।
রাগারাগির কারণ জানালেন জহর উদ্দিন ওরফে বাচ্চু মণ্ডল। বলেন, স্ত্রীকে বলেছিলাম ঘরটা পরিষ্কার করতে। সে করলো না। তারপর বললাম, তোমার মতো স্ত্রী রাস্তাঘাটে আমার অনেক আছে। তারপরও করলো না।
এতে রাগারাগি করে আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাই। সুন্দলী ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল বলেন, তার মধ্যস্থতায় গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাচ্চু মণ্ডলকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তবে এলাকায় ফিরলেও অভিমান কমেনি জহর উদ্দিনের। স্ত্রী জাহেদার কাছে নয়, থাকছেন ভাতিজা শফিকুলের বাড়িতে।