৭১’র রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী এখন আর ভালো নেই । বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছে দেহ । দন্তরোগের চিকিৎসা দিতে আগের মত যেতে পারেন না কোন হাট বাজারে । একমাত্র ছেলেটি তাও আবার অনেকটা বেকারের মতোই । নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোতে হচ্ছেন পারাপার পরিবারের সবাই । নেই টেকসই স্টিলের ব্রিজ নির্মাণের অর্থ ।
ইয়াকুব আলী ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমর যুদ্ধের একজন সম্মুখ যোদ্ধা । তৎকালীন তিনি মেজর হায়দারের অধীনস্ত ২ নং সেক্টরে এবং ঢাকা পশ্চিম অঞ্চলের সাব কমান্ডার এ.টি.এম.এ হালিম চৌধুরী ও থানা কমান্ডার ফজলুল হক খানের নেতৃতে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন ।
যুদ্ধের সৃতিচারণ করতে গিয়ে আফসোস করে করে বলেন , আমরা তখন সিংগাইরের জায়গীর গ্রামে অবস্থান করি । তখন সম্মুখ যুদ্ধে গজিন্দা গ্রামের আনিস , রমিজ ও শরীফ পাক বাহিনীদের গুলি খেয়ে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন । তিনি পাশের বাড়ি কর্তৃক জৈনিক এক মহিলার বিরুদ্ধে তার জমি দখল করে রাখারও অভিযোগ করেন । এমন সময় অনেকটা আবেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাকে । কাদের জন্য যুদ্ধ করলাম ? কার জন্য বাড়ি ছেড়েছিলাম ? কাদের জন্য হাতে অস্র নিয়ে ছিলাম ? এ বাক্যগুলি ছিল আবেগের কেন্দ্রতে ।
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসংশা করে তিনি বলেন , আমরা মুক্তিযোদ্ধারা সবাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা নেই । আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের ভাতার মাদ্ধমে জীবিকা নির্বাহের সুন্দর পথ করে দিয়ে বংগবন্ধু কন্যা আমাদের হৃদয়ে স্থান নিয়েছে ।
ইয়াকুব আলী বলেন , আমি বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার দুঃখ দেখে তা দূর করবেন নিশ্চয় ।