ভুয়া আঙুলের ছাপ দিয়ে ওএমএস চাউল তুলে নিচ্ছে ডিলার লোকমান হোসেন।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভোক্তা কার্ড থাকার পরও ভোক্তাদের চাউল না দিয়ে ভুয়া আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে নিজেই চাউল তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওর্য়াডের ওএমএস ডিলার লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে।
গ্রাহকদের কয়েকজন বলেন, ৫ থেকে ৬ মাস আগে কালিয়াকৈর উপজেলার খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় নাম এসেছে তাদের কিন্তু যখন চাউল আনতে তারা ডিলার লোকমান হোসেনের কাছে যায় তখন সে চাউল না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। এবং আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু আসতে বলে। এভাবে চাউল না দিয়ে ঘুড়ান।
সরেজমিনে বোয়ালী ইউনিয়নের ওএমএস ডিলার লোকমান হোসেনের গুদামে গিয়ে দেখা যায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভোক্তার মাস্টাররোল তালিকায় ভোক্তাদের চাউল না দিয়ে ভুয়া আঙুলের চাপ ব্যবহার করে চাউল উঠিয়ে নেয় ডিলার লোকমান হোসেন। এছাড়া গত বুধবার শবে বরাতের বন্ধ থাকার পরও সরকারি বন্ধ উপেক্ষা করে তার পছন্দের ভোক্তাদের চাউল দেন তিনি।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভোক্তাদের চাউল না দিয়ে মাস্টাররোল তালিকায় আঙুলের চাপ কীভাবে আসলো জানতে চাইলে সঠিক কোন উওর দিতে পারেনি অভিযুক্ত ডিলার লোকমান হোসেন। এছাড়া ভোক্তাদের কার্ড থাকার পরও চাউল না পাওয়ার বিষয়ে এলোমেলো উওর দেয় ডিলার লোকমান হোসেন।
বোয়ালী ইউনিয়নে ৪,৫,৬ নং ওর্য়াড নিয়ে মহিলা সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার ও পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার। তার তিনটি ওর্য়াডের ৪৬২ জনের নামে ওএমএস কার্ড রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় শতাধিক ভোক্তার নামে ওএমএস কার্ড থাকলেও তারা চাউল পাইনা। এ বিষয়ে ভোক্তারা অবগত করেন মহিলা মেম্বার তাহমিনা আক্তার কে। মহিলা মেম্বার তাহমিনা আক্তার ডিলার লোকমান হোসেনের কাছে ভোক্তাদের চাউল না দেওয়ার কারন জানতে চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভোক্তাদের চাউল দিবে না বলে হুমকি দেয় ডিলার লোকমান হোসেন।
বোয়ালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, কয়েকদিন আগে সে জানতে পারে এই ইউনিয়নের ৪,৫,৬ ওর্য়াডের কিছু লোকের নামে কার্ড ও তালিকায় নাম থাকার পরও চাউল দেয়নি ডিলার লোকমান হোসেন। এরপর তার গুদাম পরিদর্শন করে তালিকা ভুক্ত সকল ভোক্তাদের চাউল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় কিন্তু তারপরও ডিলার লোকমান হোসেন চাউল দেয়নি ভোক্তাদের।
কালিয়াকৈর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এমদাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে অভিযোগ প্রমান হলে অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।