কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বামনশুর নীমতলা এলাকায় প্রান্ত নামে এক ব্যক্তিকে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) তাদের প্রত্যাহার করা হয়। তারা হলেন- এস আই সামিউল, কনেষ্টবল সোহেল রানা ও কাজী আলমগীল।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী মনিকা বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বামনশুর নীমতল এলাকা থেকে সাদা পোশাকের কিছু লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে আামার স্বামীকে তুলে নিয়ে যোয়। পরে আমাকে মুঠোফোনে জানান তারা আমার স্বামী মাদকসহ আটক করেছেন। তাকে মামলা দিয়ে হাজতে পাঠানো হবে।
মামলা বন্ধ করতে হলে এখনই ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে হবে। দেরি হলে চালান করে দেয়া হবে। পরে আমি আমার স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে গেলে, তারা আমার সঙ্গে গালিগালাজ করে বলেন, ৫০ হাজার টাকার কম হবে না। উপায় না পেরে তখন আত্মীয় স্বজনদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে, ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রাত ১২টার দিকে রুহিতপুর এলাকা থেকে আমার স্বামীকে নিয়ে বাড়ি যায়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, এস আই সামিউল তার অপরাধ শিকার করেছেন। তাকেসহ দুই কনেষ্টবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিভাগীর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোনো সদস্য আপরাধে জরালে বাহিনী তা মেনে নেবে না। ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার পাবেন।