জাকির সিকদার:
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আলোচিত শীর্ষে তিনজনের মধ্যেই নতুন মূখ তুঙ্গে,,, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাঠে ইমেজ গঠনে লড়াই হবে বাচ্চু মৃধাকে ঘিরে সোহাগের সাথে। আর দলের সুপারিশ করলে লাইজু আপায় এগিয়ে।
মাঠ দখলের মধ্যে সাংবাদিক সোহাগ ও লাইজু এগিয়ে চলছে। তবে নির্বাচনের জয়ের পক্ষে সাপোর্ট পাইতে ত্রী-মূখী লড়াই হবে। তবে বাচ্চু মৃধাকে ঘিরে চমক রয়েছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ। দলের পক্ষে সাপোর্ট না দিলে নতুন মূখ চমক দেখাতে পারে সাংবাদিক আহসান হাবীব সোহাগ। তিনি রাজাপুর উপজেলার সোহাগ ক্লিনিকের চেয়ারম্যান এবং রাজাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি। তাহার দান দক্ষিণের মানুষ হিসেবে এক নামে আলোকিত মূখ। নতুন মূখ সাংবাদিক সোহাগের সমর্থক বেশি। তবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু মৃধাকে ঘিরে সমাজের সমালোচনার ঝড় বইছে।
অপরদিকে বর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু দলের পক্ষে এক আলোরমত বাতিঘরে পরিনত করতে আগ্রহী চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করতে। সাবেক আওয়ামী লীগের দলের কর্মী মিলন মাহমুদ বাচ্চু ও আফরোজা আক্তার লাইজু। নতুন মূখ সাংবাদিক সোহাগ মানব সেবার আলোকিত মূখ। কেহ কম নয়।সবাই সমানে সমান অধিকার নিয়ে মানব সেবায় নিয়োজিত হতে আগ্রহী হতে দেখা যাচ্ছে।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পরিত্যক্ত জেলখানা ও পাবলিক টয়লেট এবং বাস স্টেশনকে ঘিরে রয়েছে সমালোচনার ঝড়। বার বার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এর ক্ষমতার পালাবদল দেখা সত্যেও রাজাপুর উপজেলার বাইপাস মোড়ে ও সড়কের পশ্চিম দিকে জেলখানায় ভয়াবহতার নজর নাই। নাই পৌরসভার কার্যক্রম। দলের পক্ষে সাপোর্ট বৃদ্ধি পাইতে নতুন মূখ এমপি বীর উত্তম শাজাহান ওমর আওয়ামী লীগের পক্ষে তাহার নিজস্ব কার্যালয় দান করেন। বিগত সময়ে কোন মানুষের পক্ষে এমন রাজনীতির বাতিঘর করা সম্ভব হয়নি। যাহা হয়ে উঠেছে নতুন মূখ সাবেক এমপি শাজাহান ওমর বীর উত্তম এর জনতাকে আঁকড়ে ধরতে আগ্রহী করেছে।
সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে নতুন মূখ সাংবাদিক সোহাগ আলোচনা সমালোচনার মুখোমুখি এখন টপ অফ দি সোহাগ। যদি সরকার দলের পক্ষে সাপোর্ট না দেয় তবে নতুন মূখ সাংবাদিক সোহাগ এর চেয়ারম্যান পদে জয়ী হবার লক্ষ বেশি। আর যদি সোহাগ নির্বাচনের চালে ভূল করে তাহলে বাচ্চু মৃধা আবারো চেয়ারম্যান হতে পারে। তবে দলের সাপোর্টে যদি নির্বাচন হয় সেদিকে আফরোজা আক্তার লাইজু এগিয়ে। দলমত নির্বিশেষে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পাইতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নাই। কারন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে এখন সুধু সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। দলের মার্কা না দিয়ে দেখা যাবে কার কত জনতার জোর।
এলাকায় সবাই তাকিয়ে আছে বীর উত্তম শাজাহান ওমর এমপির দিকে। তাহার নজর যেদিকে সেই হবে রাজাপুর উপজেলার চেয়ারম্যান। যদি দলের দিকে না তকিয়া পুরানো বন্ধু সাংবাদিক সোহাগ শাজাহান ওমরের কাছের মানুষ বাট সমালোচনার মুখোমুখি বাচ্চু মৃধা নট আপন ধরেন তবে মোর ঘুরে দাড়াবে।
আবার এমপির সহযোগিতার ফসল লাইজু আমির হোসেন আমু এমপির ফোনে শাজাহান ওমর হেয়টান দিলে শীর্ষে থাকবে আফরোজা আক্তার লাইজু। আর শাজাহান ওমর যদি চায় রাজাপুর উপজেলার শত্রুর দিকে নজর দিয়ে দেশসেবক হিসেবে বাচ্চু মৃধাকে কোলে তুলেন সেক্ষেত্রে মিলন মাহমুদ বাচ্চু মৃধাও এগিয়ে।
মোটকথা রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও লড়াইয়ের মধ্যেই রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আলোচিত একটি নির্বাচন হতে পারে।