আকতার হোসেন :
চোরাকারবারিরা প্রতিনিয়তই কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরুর চালান ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করে থাকে । সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ পাচারকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর তিনটার দিকে খেওয়ারচর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয়টি গরু আটক করা হয়। ঘটনাটি রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা নামক সীমান্তে ঘটেছে। বিজিবি সুত্রে জানা গেছে ১০৬৯ পিলারের আশপাশ দিয়ে চোরাকারবারিরা কাঁটাতারের বেড়া কেটে ভারতের আসাম রাজ্যের সোদর টিলা গ্রাম নামক এলাকার সহযোগিতায় চোরাকারবারিরা গরু পাচার করে থাকে।
ভারতের লোকজন সহযোগিতা না করলে বাংলাদেশীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে গরুর পাচার করতে পারবেনা। এভাবে রৌমারীর পোরো সীমান্তই চোরাকারবারিদের দখলে রয়েছে হরহামেশাই ভারতীয় গরুর পাশাপাশি আসছে নানা জাতের নেসা জাতীয় দ্রব্য। যে নেসার আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ। ওই মাদকদ্রব্যের ছোবলে অন্ধকার দেখছেন অসহায় অনেক পরিবার। সীমান্ত চোরাকারবারিদের নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে হাবুডুবু খাবে বাংলাদেশ লাভমান হবে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী। এখান থেকে রক্ষা পেতে সীমান্তে টহল জোরদার করতে হবে এবং প্রয়োজনে ফোর্স আরও বৃদ্ধি করতে হবে। অপরদিকে রৌমারী উপজেলার যেটুকু আয়তনের সীমান্ত পুরো সীমান্ত জুড়েই প্রতিদিন মাদক আসছে বাংলাদেশ।
ভারতীয় ছয়টি গরু আটকের বিষয় খেওয়ারচর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ড নজরুল ইসলাম জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০৬৯ পিলার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ছয়টি গরু আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তবে চোরাকারবারিদের কাওকেই আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে আটককৃত গরু ছয়টি রৌমারী কাস্টমস অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।