সাভারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশি বাধার মুখে এ সংঘর্ষ বাধে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সাভারে আজ বুধবার সকালে এক সমাবেশ শেষে ওই বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে আজ সকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী আসেন। তাঁরাসহ নেতাকর্মীরা সকাল থেকে সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকায় সমবেত হন।
পরে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর বাসভবনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাকিজা পয়েন্টে উঠতে চেষ্টা করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়েন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সে সময় দফায় দফায় লাঠিপেটা ও ধাওয়া করে পুলিশ তাঁদের পিছু হটতে বাধ্য করে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘অনুমতি না নিয়ে তাঁরা (বিএনপির নেতাকর্মীরা) রাস্তায় নেমে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। তাঁদের নিবৃত্ত করতে গেলে পুলিশের ওপর চড়াও হন। ইটপাটকেল ছুঁড়ে আমাদের পুলিশ সদস্যদের আহত করেন।’
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এ সরকার অগণতান্ত্রিক। তারা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ বাহিনী দিয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে। লাঠিপেটা করা হচ্ছে।’