আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে সকাল ১০টার দিকে র্যালি বের করে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। পরে র্যালিটি সড়কটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে জামগড়া এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ আশুলিয়া ও সাভারের পথে পথে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে র্যালি ও মানববন্ধন করছেন শ্রমিকরা।
সোমবার সকালে সাভারের বিধ্বস্ত রানা প্লাজার সামনে সমাবেশ ও আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর র্যালির আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এবং শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন। পরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইলে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন।
এসব সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীরা শ্রমিকদের ওপর নানা নির্যাতন বন্ধ ও তাদের অধিকার আদায়ের জোর দাবি জানায়। বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি সভাপতি র্ইরাহিম হোসেন বলেন, গত ২০২০ সালের মার্চের পরে প্রায় ৮ লক্ষ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। যাদের পাওনা টাকা দেয়া হয় নাই।এই যে শ্রমিকরা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় করে, যারা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখে, সেই শ্রমিকদের পাওনা ফেলে রেখে যেতে বাধ্য করেছিল। সেই সময় বিভিন্ন কারখানায় লে-আউটের নাম করে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন চৌধুরী বলেন, ১৮৮৬ সালের মতো বর্বরতা আবার শুরু হয়েছে। যে জায়গায় ১৮৮৬ সালে কথা ছিল আট ঘণ্টা শ্রম, আট ঘণ্টা তার রেট। কিন্তু আজও দেখছি রাতের আঁধারে শ্রমিকদের অন্যায়ভাবে কাজ করানো হচ্ছে। শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনা আর যেন না ঘটে সে জন্য কাজ করছে বর্তমান শ্রমিকবান্ধব সরকার। শ্রমিকদের সার্বিক উন্নয়নে একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করছে সরকার। এ সময় মহিলা শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।