মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মাদক কারবারিতে বাঁধা দেয়ায় এক ইউপি সদস্যকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে । এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ভবিষ্যতে নিশ্চয়তার জন্য সিংগাইর থানায় একটি জিডি করেছেন । জিডি নং ৩৪৮ ।
থানা পুলিশ ও বাদী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড নতুন ইরতা গ্রামের মেম্বার হুমায়ুন কবির । পেশায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী । অপরদিকে অভিযুক্ত যুবক একই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে লালন।
বছর খানেক আগে ট্রাকভর্তী ৫০ কেজি গাঁজা নিয়ে লালনসহ আরো ২ মাদক কারবারি আটক হয় পুলিশের হাতে । আর এ গাঁজা রাখা হয়েছিল ট্রাকভর্তী ফুলকপির মধ্যে বিশেষ কৌশলে । বর্তমানে সে মামলা হতে জামিনে বেরিয়েছে । সেই থেকে এলাকার সবাই লালনকে ‘গাঁজা লালন’ বলে সম্বোধন করে ।
জামিনে বের হয়ে এলাকায় বেশ উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন এবং বিভিন্ন অপরাধ চক্রের সাথে মিশে পুনরায় মাদক কারবারিতে প্রবেশ করে যুব সমাজকে নষ্ট করার পায়তারায় মেতে ওঠে তারা । অন্যদিকে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে লালনকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করেও ফল পাওয়া তো দুরের কথা উল্টো হামলার হুমকি খেয়েছেন স্থানীয় মেম্বার হুমায়ুন কবির । এমনটাই দাবি করেন হুমায়ুন মেম্বার ।
নতুন ইরতা গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক বলেন, লালন এলাকায় একটি অপরাধ চক্র গড়ে তুলেছে গোপনে । যেটা পুলিশ সাংবাদিক কেউ জানেনা । লালনের বিরুদ্ধে কথা বলে তিনি নিজেও হুমকি ধামকির স্বীকার হয়েছেন বলে জানান তিনি ।
তালেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমজান আলী বলেন, লালন তো এক ট্রাক গাঁজাসহ পুলিশের কাছে ধরা খাইছে এ কথা সবাই জানে । তবে হুমায়ুন মেম্বারের সাথে কি হয়েছে কেন তিনি জিডি করেছেন তা জানেননা বলে জানান তিনি ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লালন নিজেকে নির্দোষ দাবী করে জানান, আমাকে ওই গাঁজার মামলায় ফাঁসানো হয়েছে । আমি মাদক কারবারিতে নেই । হুমায়ুন মেম্বারের বিরোদ্ধে মেম্বারি নির্বাচন করেছি বিধায় আমাকে সে ‘চোখের কাটা’ মনে করছে ।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, এ বিষয়ে জিডি হয়েছে । তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
356
Shares
শেয়ার করুন
শেয়ার করুন