মাহবুব আলম মানিকঃ
স্ত্রী রাবেয়া আক্তারের দায়ের করা মামলা থেকে বাঁচতে বিদেশে পালানোর পায়তারা করছেন স্বামী সুজন।
সুজন ঠাকুরগাঁও জেলা পীরগঞ্জ উপজেলার সেনুয়া গ্রামের মৃত সলেমান আলীর ছেলে। এবং স্ত্রী রাবেয়া আক্তার একই উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলীর মেয়ে।
জানা যায় বিগত কয়েক বছর আগে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে রাবেয়া কে বিয়ে করেন সুজন। বিয়ের পর রাবেয়া সন্তান সম্ভবনার ৭ মাসের বেলায় যৌতুক লোভী স্বামী সুজন আবারও ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে বসেন রাবেয়া ও তাঁর বাবা মায়ের কাছে।
যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় প্রসূতি মা রাবেয়ার উপর শারীরিক ভাবে ব্যাপক নির্যাতন করে স্বামী সুজন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন রাবেয়া।
দীর্ঘদিন বাপের বাড়িতে থাকার পরও স্ত্রী সন্তানের কোন খোঁজ খবর না নেওয়ায়। নিরুপায় হয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান’র শরণাপন্ন হয় রাবেয়া ও তাঁর বাবা মা। তাতেও কোন কাজ হয়নি স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে আরও বেপরোয়া ব্যবহার ও হুমকি দিতে থাকে স্ত্রী রাবেয়া ও তাঁর বাবা মা কে।
অবশেষে কোন উপায়ন্তর খুঁজে না পেয়ে নারী নির্যাতন,যৌতুক, ও স্ত্রী সন্তানের ভরনপোষণের দাবী করে ঠাকুরগাঁও পারিবারিক কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী রাবেয়া। যাহার মামলা নং- ৩/২০২২
উক্ত মামলায় হাজতবাস হলেও আইনের ফাঁক ফোকরে বের হয়ে আসেন সুজন, বের হয়েই রাবেয়া কে একতরফা তালাক দিয়ে, স্ত্রী সন্তানের তথ্য গোপন রেখে আইন কে অবজ্ঞা করে লুকিয়আবারও একটি বিয়ে করেন,
দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানাজানি হওয়ায় আবারও আইনি জটিলতায় পরার ভয়ে এখন বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জোর পায়তারা চালাচ্ছেন যৌতুক লোভী সুজন। এমন পরিস্থিতিতে সুজন যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে। সেজন্য প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন একজন অসহায় নারী ও তাঁর দেড় বছরের কন্য সন্তান রাইশা মনি।
উক্ত ঘটনার সত্যতা জানতে সুজনকে ফোন করলে তিনি এবিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানান।