জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে হাত, দাঁত ও চাপার হাড্ডি ভেঙে যমুনা নদীতে নিক্ষেপের হুমকিদাতা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে (আনারস প্রতীক) শোকজ করেছে নির্বাচন কর্মকর্তা।
শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটককৃতরা হলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং পিংনা সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান ও পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার দুইজন কর্মী পিংনা ইউনিয়নে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এবং এই নির্বাচনে অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট দিতে বাধা প্রদান করবেন ও হাত ভেঙে যমুনা নদীতে নিক্ষেপ করাসহ নানা ধরনের উষ্কানীমূলক ও হুমকিস্বরূপ বিভিন্ন বক্তব্য দেন। যার একটি ভিডিও ক্লিপ আমাদের নজরে এসেছে এবং বিভিন্ন পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিভিন্ন বিধান অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় ও হুমকিদাতা দুজনের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দুইজন আসামি পিংনা সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাঈদ ও মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন জয়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে এবং আনারস প্রতীকের প্রার্থী কারণ দর্শানোর নোটিশের ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। যা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রতিবেদন আকারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বর্তমানে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।