বেপরোয়া গাড়ি চলাচল ট্রাফিকের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। আজ বিকেলের সেতু জুড়ে যানজটের কবলে পড়ে কক্সবাজার বান্দরবান জেলা ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে আসা যানবাহন গুলো। এতে ভোগান্তিতে পড়ে যায় সাধারণ যাত্রীরা। চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রবেশ করা যানবাহন এবং কক্সবাজার বান্দরবান থেকে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলার যানবাহনগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অ্যাম্বুলেন্স সহ জরুরী কাজে যাওয়া লোকজন এ সময় চিৎকার করতে শোনা যায়।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে শাহ আমানত সেতু পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় যানবাহনগুলো একটু পর পর থেমে যেতে হচ্ছে। সেতু পরবর্তী যে মোড় রয়েছে সেখানে কয়েকজন ট্রাফিক কনস্টেবল ও সার্জন দাঁড়িয়ে থেকে যানজট মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে দেখা যায়। কিন্তু শত শত গাড়ি একসাথে যানজটের খবলে পড়ায় সঠিকভাবে যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হচ্ছে না দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশেরা। এ সময় এক প্রকার অসহায়ের মত এক পাশে কনস্টেবলদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। নতুন ব্রিজ এলাকায় যানজটের বিষয়টি পুরনো। এখানে অপরিকল্পিত টার্মিনাল হওয়ায় কক্সবাজার ও বান্দরবান গামী এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার যানবাহন নিয়মিতভাবে যাত্রী উঠানামা করার কারণে এখানে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল জানান যানবাহন গুলোকে এখান থেকে সরানোর জন্য বিভিন্ন কৌশলের পাশাপাশি মামলা পর্যন্ত দেয়া হয় তারপরেও যানবাহন চালকরা এখান থেকে সঠিক সময়ে গাড়ি সরানোর ব্যবস্থা করে না। যাত্রীদের অভিযোগ ট্রাফিক বিভাগের লোকেরা গাড়ির কাগজপত্র চেক করার নামে সড়কের মাঝখানে যানবাহন গুলো দাঁড় করিয়ে রাখে এতে পেছনের গাড়িগুলো সামনের দিকে যেতে না পারার কারণে স্থায়ী যানজটের সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল ও সার্জনরা যদি গাড়ির কাগজপত্র চেক করার জন্য এক পাশে নিয়ে তাদের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে মূল সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয় না। যানবাহন গুলো সড়কে বেপরোয়া ভাবে যাত্রী উঠানামার কারণে প্রতিনিয়ত যে যানজটের সৃষ্টি হয় তার জন্য ট্রাফিক বিভাগ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না তেমন। উল্টো কিছু টাকার বিনিময়ে যানবাহন গুলোর এই অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছে ট্রাফিক বিভাগের লোকজন।
এই দীর্ঘ যানজট থেকে মুক্তি পেতে হলে ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব তোদের সঠিক ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসতে হবে। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠা নামা বন্ধ করতে হবে। যানবাহনের কাগজপত্র চেক করতে হলে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে তা করতে হবে। তাহলে নতুন ব্রিজ মোড় এলাকাটি যানজট মুক্ত হওয়ার আশা প্রকাশ করেন সাধারণ যাত্রীরা।