‘Mental health in humanitarian emergencies’
মানবিক জরুরী পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য – এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রত্যাশা-২ প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ শহরে মানিকপুরে ব্রাক কার্যালয়ে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম এমআরএসসি মুন্সীগঞ্জে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশফেরত অভিবাসীদের মনোসামাজিক সহায়তা প্রদান এবং নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্র্যাক প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করে থাকে।
এই উপলক্ষে একটি র্যালীর মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর আলোচনা সভা এবং বিদেশফেরত অভিবাসীদের জন্য কাউন্সেলিং সেবার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ, বিদেশফেরত অভিবাসী ও তাদের পরিবার, স্থানীয় প্রতিনিধি এবং ব্র্যাক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং কাউন্সেলিং সেবার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আত্মহত্যা, বিষন্নতা অন্যান্য মানসিক ঝুঁকি কমিয়ে আনা। পাশাপাশি, মানসিক সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গকে কাউন্সেলিং সেবা গ্রহণে উৎসাহী করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা দূর করাও ছিল অন্যতম লক্ষ্য।
আলোচনা সভায় মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব, বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্যের সংক্ষিপ্ত চিত্র, কাউন্সেলিং-এর প্রয়োজনীয়তা, মানসিক স্বাস্থ্য ও ঝুঁকি, এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধে করণীয় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ( প্রবাসী কল্যাণ শাখা)আকিফ জামান, আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক জেলা প্রতিনিধি আল আমিন, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম প্রত্যাশা-২ প্রকল্পের এমআরএসসি কো-অর্ডিনেটর শাওন রায়, সেক্টর স্পেশালিস্ট-সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলর বাঁধন সরকার সহ ব্র্যাকের অন্যান্য প্রোগ্রামের প্রতিনিধিরা এবং বিদেশফেরত অভিবাসীগণ।
আলোচনা সভায় প্রত্যাশা-২ প্রকল্পের এমআরএসসি কো-অর্ডিনেটর শাওন রায় বলেন, “বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি প্রায়শই উপেক্ষিত। অভিবাসীদের জন্য ব্র্যাকের এই কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।”
ব্র্যাক জেলা প্রতিনিধি- আল আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকিফ জামান বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিত। মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ব্র্যাককে ধন্যবাদ জানাইয়ে বলেন ব্র্যাক একজন দক্ষ কাউন্সেলর এর মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে যাচ্ছে পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সকলকে সচেতন করছে।
এই দিনব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রমের ফলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। তারা কাউন্সেলিং-এর প্রয়োজনীয়তা এবং মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন, যা বিষন্নতা ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।