ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগরের বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কারাবন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বৃস্পতিবার রাতে জানান, খালেদের বিরুদ্ধে করা সাতটি মামলার সবগুলোতে জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কারামুক্ত হলেও হাসপাতাল ছাড়ছেন না। জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত থেকে বৃহস্পতিবার জামিন পান খালেদ মাহমুদ ভুইয়া। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে জামিন দেওয়া হয়। সন্ধ্যায়ই জামিনের কাগজ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসে। এরপর তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৩ আগষ্ট জামিনে মুক্তি পান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। তার আট দিন পর জামিনে মুক্তি পেলেন মহানগর যুবলীগের আরেক নেতা খালেদ।
ঢাকার ক্লাবগুলোতে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে গুলশানের বাসা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে গুলশান থানায় মোট সাতটি মামলা করে র্যাব।
র্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে সম্রাট, খালেদ ও জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জন গ্রেপ্তার করা হয়। ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবে ক্যাসিনো তিনিই চালাতেন বলে জানায় র্যাব। পরে তাকে যুবলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। গত বছর ২১ মার্চ অর্থ পাচার ও মাদক আইনের দুই মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।