মিজানুর রহমান :
মহামারি করোনার পর আবার বন্যায় প্লাবিত দেশের অধিকাংশ জনপদ। সিংগাইর উপজেলাটিও এর বাইরে নয়। শত দু:খের মাঝেও একটু সুখের পরশ জুগিয়েছে এদেশের সোনালী আঁশ বলে খ্যাত পাট। সিংগাইর উপজেলায় পাট চাষে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভাল হওয়াতে এবং বাজারে ভাল দাম পাওয়াতে চাষীদের মুখে ফুটেছে সুখের হাসি।পাট এদেশের বৃষ্টি নির্ভর একটি বর্ষজীবি এবং বর্ষাকালীন ফসল। পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়ে থাকে এবং বাংলার (বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গ) শত বর্ষের ঐতিহ্য। এদেশে দুই ধরণের পাট দেখতে পাওয়া যায়। একটি সাদা পাট অপরটি তোষা পাট। মনে করা হয় সংস্কৃত শব্দ পট্ট থেকে পাট শব্দের উৎপত্তি হয়েছে।
সিংগাইর উপজেলার প্রায় সব জায়গাতেই পাট কমবেশি চাষাবাদ করা হয়। তবে উপজেলার বলধারা, সদর ইউনিয়ন, বায়রা, চারিগ্রাম, শায়েস্তা ও জামির্ত্তা ইউনিয়নে তুলনামূলকভাবে একটু বেশি চাষাবাদ হয়ে থাকে। এবার বন্যায় পানি হওয়াতে পাটের প্রক্রিয়াতকরণ বেশ সুবধিা হয়েছে । উপজেলার জয়মন্টপ গ্রামের পাটচাষী এমদাদুল হক বলেন, প্রায় ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষাবাদ করেছি। এবার পাটের জাগ প্রক্রিয়া ভাল হবার পাশাপাশি উৎপাদন এবং বাজারে ভাল দাম পাওয়া গেছে। প্রতি মণ পাট বিক্রি করছি ২ হাজার থেকে তেইশ শ’ টাকা পর্যন্ত। জামির্ত্তা গ্রামের পাটচাষী খলিলুর রহমান বলেন, প্রায় ২ বিঘা জমিতে পাট চাষাবাদ করেছি। এবার উৎপাদনও ভাল হয়েছে পাশাপাশি বাজারে দামও পাচ্ছি ভাল। গাজিন্দা গ্রামের পাটচাষী আছর উদ্দিন এবং আকবর আলী বলেন, এবার পাটে উৎপাদন ভাল হবার পাশাপাশি বাজারে দামও যথেষ্ট সন্তোষজনক।
সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান স্বপন বলেন, এবার এ উপজেলায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষাবাদ করা হয়েছে এবং প্রতি হেক্টরে প্রায় সাড়ে ৩ টন পাট উৎপন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবার পাটের উৎপাদন যেমন ভাল হয়েছে তেমনি বাজারে ভাল দাম পাওয়াতে চাষীরা বেশ খুশি।