ইবি প্রক্টরের হাতে লাঞ্ছিত রাবি শিক্ষার্থীরা, নিন্দার ঝড়

ইবি প্রক্টরের হাতে লাঞ্ছিত রাবি শিক্ষার্থীরা, নিন্দার ঝড়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রক্টরের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। রাবির কয়েকজন শিক্ষার্থী ইবিতে বেড়াতে এলে তাদের তুই-তুকারি করে ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন প্রক্টর। এ নিয়ে ফেসবুকে নিন্দার ঝড় বইছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী চঞ্চল আহমেদ সহ একই শিক্ষাবর্ষের মোট ৬ জন শিক্ষার্থী। গত সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কুষ্টিয়ার কয়েকজন শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসে। ক্যাম্পাসের মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করি কোন বাঁধা ছাড়াই প্রবেশ করে তারা। পরে তারা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে অবস্থান করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণের নজরে আসে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে চান। তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে তাদের সাথে প্রক্টর অসৌজন্যমূলক আচরণ করে চলে যেতে বলেন। এসময় ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকো আসুক আর আফগানিস্তান থেকে আসুক, চলে যাও।’ বলে তাড়িয়ে দেন তিনি।
পরে শিক্ষার্থীরা ফিরে যাওয়ার সময় প্রক্টর তাদের পিছু নেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। ফেরার পথে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কিছুটা সময় কালক্ষেপণ করে তারা। এরপর তিনি সেখানে তাদের তুই-তুকারি করে তাড়িয়ে দেন। ভুক্তভোগীদের চঞ্চল আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। পরে স্ট্যাটাসটি ‘পাবলিকিয়ান’ নামে এক ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা হয়। এতে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এছাড়া এমন আচরণে ইবি শিক্ষার্থীরাও এমন আচরণে ক্ষমাপ্রার্থী বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও এর ক্ষুদ্ধ পতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ভুক্তভোগী চঞ্চল আহমেদ জানান, ‘আমরা একজন শিক্ষকের থেকে এমন অসঙ্গত আচরণ কখনোই আশা করি না। তিনি আমাদেরকে ভালোভাবেও বলতে পারতেন! কিন্তু তিনি তা না করে এমন দাম্ভিকতাপূর্ণ ও অসঙ্গত আচরণ দেখিয়েছেন। তার এমন ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ রাসেল মাহমুদ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ওই পোস্টের কমেন্টে লিখেন, ‘আমি নিজেও এই ঘটনার শিকার হয়েছি। আমাদের ক্যাম্পাসে বুঝি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট আসে না। জীবনে শুনি নাই কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটি তে বহিরাগত আসা নিষেধ।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালন এক পোস্টে লিখেন, ‘এ ধরনের আচরণ একজন অসুস্থ ও বেসামাল মানুষই করতে পারে । যেমনটি ইবির প্রক্টর স‍্যার করেছে! আমরা লজ্জিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা রাবির ভাইদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী।’ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ইবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিক কমেন্টে লিখেন, ‘আমরা লজ্জিত। রাবির ভাইদের সাথে এমন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। শিক্ষকদের কাছে এমন আচরণ প্রত্যাশা করি না।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী কমেন্টে লিখেন, ‘উনি অলয়েজ হাই মুডেই থাকেন, আমাদের দুই ফ্রেন্ড শহীদ মিনারে স্যান্ডেল ছাড়া উঠে উনার থাপ্পড়ও খাইসে, কিছু মনে নিয়েন না ভাই।’ উল্লেখ্য, এর আগেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এক শিক্ষার্থী প্রক্টরের ফেসবুক পোস্টে তার মতের বিরুদ্ধে কমেন্ট করায় বেয়াদপ বলে ও তুই তুকারি করে শাসিয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থীকে নানা কারণে থাপ্পড়ও মেরেছে। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে আন্দোলন করায় ‘যা পারো করো’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে সরকারি সফর শেষে আজ সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে...

Read more

সর্বশেষ

ADVERTISEMENT

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত


সম্পাদক ও প্রকাশক : মাে:শফিকুল ইসলাম
সহ-সম্পাদক : এডভােকেট-মোঃ আবু জাফর সিকদার
প্রধান প্রতিবেদক: মোঃ জাকির সিকদার

কার্যালয় : হোল্ডিং নং ২৮৪, ভাদাইল, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা-১৩৪৯

যোগাযোগ: +৮৮০ ১৯১ ১৬৩ ০৮১০
ই-মেইল : dailyamaderkhobor2018@gmail.com

দৈনিক আমাদের খবর বাংলাদেশের একটি বাংলা ভাষার অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে দৈনিক আমাদের খবর, অনলাইন নিউজ পোর্টালটি সব ধরনের খবর প্রকাশ করে আসছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচারিত অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলির মধ্যে এটি একটি।

ADVERTISEMENT
x