মিজানুর রহমান, সিংগাইর :
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক প্রধান শিক্ষকের উপর বর্বর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন সিংগাইর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দগণ। সন্ত্রাসী হামলার শিকার প্রধান শিক্ষক উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের গোলাইডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফুর রহমান (৫৫)।
বুধবার বেলা ১১ টার দিকে সিংগাইর উপজেলা চত্তরে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজিত ব্যানারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এ বর্বর হামলার প্রতিবাদে ক্রমান্বয়ে বক্তব্য রাখেন।
হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগের পর এখনও পুলিশ কাউকে আটক করতে না পারাতে দু:খ ও শোকে আবেগ আপ্লুত হয়ে সিংগাইর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আকরাম হোসাইন থানা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা কোন না কোন শিক্ষকের ছাত্র। তাই সভ্যতার এ যুগে একজন শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হামলা হওয়া মানে গোটা শিক্ষিত সমাজের উপর এ অবমাননাকর বটে।
সিংগাইর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় জালাময়ী বক্তব্য রাখেন অত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান দুলাল, শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, জয়মন্টপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু রাধেশ্যাম, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান, ধল্লা ইউনিয়ন কাউন্সিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।
বক্তব্যে শিক্ষকরা উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের দৃষ্টি আকর্শন করে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে অন্যথায় পরবর্তীতে আরো বৃহত্তর পদক্ষেপের ঘোষণা করা হবে বলে তারা জানান।
বলধারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাজেদ খাঁন বলেন, ঘটনার দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কথামত ঘটনাস্থলে পুলিশসহ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। মেয়ে ঘটিত ব্যাপারে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের একাংশ ঐ প্রধান শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে বাঁধা দিচ্ছিল।
সিংগাইর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ঐ শিক্ষকের পক্ষ হতে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা বলেন, গত ১ পহেলা জানুয়ারী বই বিতণের দিনে স্কুলে ঢুকে একজন প্রধান শিক্ষককে মারধর করা অবশ্যই নেক্কার জনক।
আরো আগের ঘটনা ঐ স্কুলের এক ছাত্রীকে নিয়ে অশ্রাব্য অভিযোগ তোলে ঐ স্কুলের এক খন্ড কালিন এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রুনা লায়লা আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক আরিফুর রহমানকে এ ঘটনায় দায়ি করে ঐ এলাকার অভিভাবক সদস্য তার অপসারণ চাচ্ছিল।
৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্তে বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে কয়েকটির সত্যতা পাওয়া গেলেও তবে, তাদের অভিযোগের সাথে ভিক্টিমের স্বীকারোক্তীর অমিল পাওয়া গেছে।