বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে আজ (৭ মে) সন্ধ্যানাগাদ সরকারের অনুমতি পাওয়ার প্রত্যাশা করছে পরিবারের সদস্যরা। পরিববার বলছে, অনুমতি পেলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার নবায়ন করা পাসপোর্ট পাওয়া যাবে আগামীকালের মধ্যে। শুক্রবার (৭ মে) খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলামের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানা গেছে।
সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে প্রথমে ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে। এরপর সিঙ্গাপুর থেকে যুক্তরাজ্য বা সৌদি আরবের যেকোনো এক দেশে নেওয়া হতে পারে। যদিও খালেদা জিয়াসহ আমাদের প্রথম পছন্দ যুক্তরাজ্য। দুই দেশের সঙ্গেই কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।’
এদিকে, এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি থাকা খালেদা জিয়াকে এখনো অক্সিজেন ও ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে বলে হাসপাতালটির দায়িত্বশীল একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন। বৃহস্পতিার ( ৬মে) থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের একাধিক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এছাড়া, অন্য কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। শুরুতে গুলশানের বাসায় চিকিৎসা চলছিল তার। ১৫ এপ্রিল সিটি স্ক্যানের জন্য প্রথমবারের মতো তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। ঘণ্টাখানেক পরে পরীক্ষা -নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরে আসেন। ২৭ এপ্রিল ফের তাকে শারীরিক টেস্টের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যেতে হয়। এই দফায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরই মধ্যে ৩ মে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে।