চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ মাদ্রাসা পাড়ায় মেয়ের তালাক দেয়া স্বামীর এলোপাতাড়ী কোপে শ্বাশুড়ী শাহিদা খাতুন(৪৫) মারাত্মক আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি শনিবার সন্ধ্যা-রাতে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার
প্রস্তুতি চলছে। উপজেলার হাসাদহ মাদ্রাসপাড়ার মিজানুর রহমান বলেন,আমার মেয়ে রুপভানকে দেড়
যুগ আগে যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার কিসমত মাহাম্মদপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ ফকিরের ছেলে তরিকুল ইসলামের(৪৫)সাথে বিয়ে দেয়া দিই।
তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তরিকুল ইসলাম মালয়েশিয়া প্রবাস থেকে ফিরে আসার পর তাদের দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে গত ৬-৭ মাস আগে তাদের
দাম্পত্য জীবনে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। অতি সম্প্রতি আমার উক্ত মেয়ে রুপভানকে অন্যত্র বিয়ে দিই। এতে তরিকুল ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে নানা ভাবে হুমকি ধামকী দিয়ে আসছিল।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আমি বাড়ী ছিলাম না। ওই সময় তরিকুল
আমাদের বাড়ীতে একটি ধারালো হাসুয়া বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমে বাইরের
বিদ্যুতের লাইট ভেঙ্গে ফেলে। আমার স্ত্রী শাহিদা ও মেয়ে রুপভান ঘটনা কি
জানতে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া মাত্র হাতে হাসুয়া দিয়ে তরিকুল আমার
স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। এই সময় তরিকুলকে
আমার মেয়ে ঝাপটে ধরে। কিন্তু তরিকুল আমার মেয়েকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।
আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার স্ত্রীর
অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান জুম্মাত মন্ডল ঘটনার
সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনাটি হঠাৎ ঘটে যাওয়ায় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী
কোন সাক্ষী পাওয়া যায়নি। তবে তরিকুলকে এলাকায় অনেকেই ঘুরতে দেখেছেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনার ব্যাপারে লিখিত
অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।