সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ফরিদ মিয়া (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষে নারীসহ আহত হয়েছে আরও ২০ জন।
নিহত ফরিদ মিয়া উপজেলা দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল হামিদ মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ (২ মে সোমবার) বিকেলে উপজেলা দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মধ্য হাটি।
নিহতের চাচাত বড় ভাই রসুলপুর গ্রামের মধ্য হাটির বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র নির্বাচনের পর থেকে একই গ্রামের রজব আলী ও রাশিদ মিয়া গ্রুপের লোকজনের সাথে তাদের বিরোধ চলছিল।
রজব আলী ও রাশিদ মিয়া গ্রুপের লোকজনের নির্বাচনের পর থেকেই আমাদের উপর বার বার হামলা চালায়। পরে স্থানীয়ভাবে আমর রজব আলী ও রাশিদ মিয়া গ্রুপের লোকজনের আমাদের উপর হামলার ঘটনা প্রশাসনকে জানিয়ে আসছি। কিন্তু আজ দুপুরে এরই জের ধরে রজব আলী,রাশিদ মিয়া,গোলাম হোসেন,আব্দুল মন্নাফ সহ ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ ফরিদ মিয়ার চাচা কাশেম মিয়াকে মারধর করলে ফরিদ মিয়াসহ কাশেমের আত্মীয় স্বজনরা এগিয়ে আসলে এসময় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ।
এতে সংঘর্ষে ফরিদ মিয়া(২৬),আনোয়ার (২০),উমেদ আলী(৪০),রেশমা(১৮),অরুনা খাতুন(৩৮),জাকির (৩০),রতন মিয়া(২৯)নারী সহ ২০ জন আহত হয়। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেল কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্ব আহত ফরিদ মিয়া কে মৃত ঘোষণা করেন। এবং আপর আরেক জন গুরুতর আহতকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে । এবং বাকীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এই চিকিৎসা দেয়ে ইচ্ছে
তবে এ নিউজ লিখা পর্যন্ত এখনো কোন মামলা হয়নি।
তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ তরফদার নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষে নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে আছি।