তাসানুল হক শাহাজামাল
দামুড়হুদায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের হাতের থাপ্পড়ে ইসরাফিল মোল্লা (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ মৃত্যু হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামের মৃত জুনাব আলী মোল্লার ছেলে।
শুক্রবার দুপুর ১ টা নাগাদ দামুড়হুদা মডেল থানার মেইন গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লাহ গ্রামের নজরুল ইসলাম ও বজলুর রহমানের সাথে বসতভিটার জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশকিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
এ ঘটনায় নজরুল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বিরোধ মিমাংসার জন্য দুপক্ষকে শুক্রবার থানায় ডাকা হয়। মিমাংসা শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় দুপক্ষের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ওরফে টুপি শহিদুল বৃদ্ধা ইস্রাফিল মোল্লাকে কিল-ঘুষিসহ মারধর করে।
এ সময় বৃদ্ধা মাটিতে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে। উপস্থিত লোকজন আহত বৃদ্ধাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। এ সময় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তানভরি মোহাম্মদ আসিফ তাকে মৃত ঘোষনা করেন। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।এ দিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় সচেতন মহল থানা পুলিশের প্রতি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে উপজেলার সভা সেমিনারে দেখা না গেলেও দিনের বেশীরভাগ সময়ই থানায় দেখা যায়।
জমিজমা সংক্রান্তে প্রতিদিন থানায় একাধিক সালিশ বৈঠক হয়। জনশ্রুতি রয়েছে ওসি আব্দুল খালেক এবং ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ওরফে টুপি শহিদুল দুপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সালিশ বৈঠক বসায়। যা পুলিশের এখতিয়ার বহি:ভূত।এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।এ দিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় সচেতন মহল থানা পুলিশের প্রতি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে উপজেলার সভা সেমিনারে দেখা না গেলেও দিনের বেশীরভাগ সময়ই থানায় দেখা যায়। জমিজমা সংক্রান্তে প্রতিদিন থানায় একাধিক সালিশ বৈঠক হয়।
জনশ্রুতি রয়েছে ওসি আব্দুল খালেক এবং ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ওরফে টুপি শহিদুল দুপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সালিশ বৈঠক বসায়। যা পুলিশের এখতিয়ার বহি:ভূত