দুলাল হোসেন মন্ডল:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে পুরো বিশ্ব। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা মানুষগুলো এখন গৃহবন্দি। এই অবস্থায় নিরাপদে থাকতে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে বন্ধ প্রায় সকল কর্মক্ষেত্র। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা বদলে দিয়েছে পুরো পৃথিবীর দৃশ্যপট। আর এই লম্বা ছুটিতে বাঙালির ঐতিহ্য রঙিন ঘুড়িতে মেতেছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার তরুণ প্রজন্ম সহ নানান পেশাজীবি মানুষ। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের অনেকেই একসাথে ফাঁকা মাঠগুলোতে ঘুড়ি ওড়াতে ব্যস্ত । অনেকেই আবার ঘুড়ির সুতোয় কাটাকাটি খেলে কিংবা আকাশে ঘুড়ি পাঠিয়ে এ যেন করোনাকালীন ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করার এক সুস্থ বিনোদন। আর এই ঘুড়ি উরানোকে পূজি করে ঘুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন সংকটময় সময়ের বেকার যুবক কারিগররা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গ্রাম অঞ্চলে কিছু বেকার যুবক বাশ-বেত এবং রঙ্গিন কাগজ দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করে তা বিভিন্ন ঘুড়ি প্রিয় মানুষদের কাছে খুব ভাল দামে বিক্রি করছে ।তারপর সেই ঘুড়িতেই ব্যস্ত হয়ে পরেছে ফসলি জমির আইল এবং রাস্তার পাড় । উপজেলার ঠাকুরঝিপাড়া ঘুড়ি বিক্রেতা মামুন বলেন, বাড়ীতে দীর্ঘদিন অবস্থান করার ফলে আর্থিক সংকটের মধ্যদিয়ে দিন যাচ্ছিল । এবছর মানুষের মধ্যে ঘুড়ির ব্যপক জনপ্রিয়তা দেখে ঘুুরি বানানো এবং বিক্রির কাজে মন দিলাম । তারপর ঘুড়ি বিক্রির ব্যপক সারা পাওয়ায় এটা এখন আমার জন্য লাভ জনক ব্যবসা হয়ে উঠেছে।অনেক দূর/দুরান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের লোক আমার কাছে ঘুড়ি কিনতে আসে। সাধারণ ঘুড়ি,গুড্ডি, চোং, বিমান, কয়রা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার ঘুড়ি এক একটা ৩০০/৪০০/৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করি । ভাল ভাবে কাজ করলে দিন ২/৩ টা পর্যন্ত ঘুরি বানানো সম্ভব হয় । সেখানে থাকা একজন ক্রেতা বলেন, আমি আমার ছেলের জন্য একটা ঘুড়ি কিনতে এসেছি । এই সময়ে ছেলেকে বাইরে ঘোড়াফেরা করতে দেওয়ার চাইতে মাঠে ঘুড়ি উরাতে দেওয়া ভাল । এই অবসর সময়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ ঘুড়িতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লাইট লাগিয়ে তা দিনের বেলার পাশাপাশি রাতেও একটা সুন্দর দৃশ্য তৈরি করে । যা মানুষকে একটা সুন্দর বিনোদন দিতে সাহায্য করে