
মাইনুল ইসলামঃ
সারাদেশে একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর হামলা,হুমকি, লাঞ্ছিত’র মত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরে থাক উল্টো মামলা দিয়ে সাংবাদিকদেরই হয়রানি করা হয়৷ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশ্লেষকেরা মনে করেন প্রশাসনের উদাসীনতাই এই ধরনের ঘটনাগুলোকে উস্কে দিচ্ছে৷
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসেবে, ২০১৯ সালে ১৪২ জন সাংবাদিক, হামলা, মামলা বা গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ২৩টি ঘটনায় সরাসরি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত । পাশাপাশি ৫৭টি মামলা হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।
রাজধানীতে এমনই লাঞ্ছিত হয়েছেন সংবাদ প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার এনামুল হক ইমন।
জানাযায়, রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী থানা এলাকার পাইকারি ফলের আড়ৎ “জামাল বাণিজ্য ভান্ডার এর মালিক ও কর্মচারীদের মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল জলিল ও আমিনুলসহ স্থানীয় সন্ত্রাসী দ্বারা শনিবার রাতে হুমকি দেন ব্যবসা করতে হলে এদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য।
জামাল বাণিজ্য ভান্ডার মালিক যোগাযোগ না করলে জলিল ও আমিনুল সহ এর পালিত সন্ত্রাসীরা আড়ৎ এর মালিক জামাল ও তার কর্মচারীদের মারধর করেন আব্দুল জলিল ও আমিনুল। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় জামাল ও তার কর্মচারীদের সহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
আড়ৎ এর মালিক জামাল অবগত করেন প্রতিবেশী সংবাদ প্রতিদিনের ষ্টাফ রিপোর্টার এনামুল হক ইমনকে
সাথে নিয়ে জামাল শাহআলী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে এনামুল হক ইমনকে জেল হাজতে ঢুকানোর হুমকি দেন শাহ আলী থানার উপ পুলিশ পরির্দশক মতিউর রহমান ।
এবিষয়ে সংবাদকর্মী এনামুল হক ইমন মিরপুর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।