শফিকুল ইসলামঃ
আগুন জ্বালানোর গ্যাসলাইটের ছলে ঘরে ঢুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে মো. সাগর (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ ।
এ ঘটনায় ধর্ষণকারি সাব্বিরসহ আরও ১ সহায়তাকারী পলাতক রয়েছে এবং ভাই পুলিশ সদস্য থাকায় ০৩(তিন)নং সহায়তাকারীনিকে রাত অনুঃ ০১ টায় থানা থেকে ছেরে দেওয়া হয় ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে ভাড়াটিয়া সাব্বির ও ভুক্তভোগী (৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা) নারীর একই বাসায় বসবাস করে । আগুন জালানোর গ্যাসলাইট চাইতে ওই নারী ঘরে প্রবেশ করে সাববির ।
এসময় বাহির থেকে সাগর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় দিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ঐ নারীকে ।ধর্ষণ শেষে ঘরের ভিতর থেকে সাব্বির দরজা খোলার জন্য শব্দ করলে মোঃ সাগর দরজা খুলে দেয় এবং ধর্ষণকারী সাব্বির ঘর থেকে বের হয় ।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানানয়, তিনি বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কাজ থেকে বাসায় ফিরলে তার স্ত্রী ঘটনাটি খুলে বলে । এ সময়, স্বামী ও ভুক্তভুগী স্ত্রী দুই জন গিয়ে ০৩ নম্বর অভিযুক্ত আছমা বেগম কে বিষয়টি জানায় । আছমা বেগম অনুতপ্ত না হয়ে বা, আইনি পরামর্শ না দিয়ে সাব্বির ও সাগরের পক্ষ নেয় । ভুক্তভুগীদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং ঐ রাতে ১১ টার দিকে স্বামী স্ত্রী দুই জন কে মারধর করে ।
সাব্বিরের সাথে ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাসা ছেড়ে যেতে বলেন ।সাব্বির ও সাগরের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায় নি ।
তবে আছমা শান্তিনগর এলাকার মোঃ সেলিমের স্ত্রী ।ভুক্তভোগী নারীসহ অভিযুক্ত সাব্বির, সাগর ও আছমা বেগম একই বাড়িতে বসবাস করেন ।
পরে থানায় অভিযোগ দিলে রাতে সাগরকে আটক করে পুলিশ এবং সহায়তাকারীনি আসমাকে ডেকে থানায় নিয়ে যায় । ধর্ষণে সহায়তাকারীনি তিন নং অভিযুক্ত আসমা বেগম থানা থেকে রাত ০১টার দিকে বাসায় ফিরে আসে ।
কোন কারণে থানা পুলিশ আসমা বেগম কে ছেরে দিয়েছে মর্মে জানতে চাইলে, গত ১৩ ই জুলাই বিকাল সারে পাঁচটায় আসমা বেগম জানায়ঃআরিফ নামে তার একজন ভাই পুলিশ সদস্য রয়েছেন । সেই ভাইয়ের সুপারিশে পুলিশ ম্যানেজ করে থানা থেকে ছুটে এসেছি ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক জোহাব আলী জানান, অভিযোগ দায়েরের পরপরই একজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
একইসাথে ভুক্তভোগী ওই নারীকে তার স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হবে