শাহ আলমঃ সুনামগঞ্জে তাহিরপুর উপজেলার রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওরে নজরখালী বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে হাওরে ঢুকছে পানি। এতে ওই হাওরের প্রায় ৫ হাজার একর ফসিল ধানি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
গত কয়েকদিনর বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাঠলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া হাওরের সপ্তাহখানেক স্থানীয় কৃষকদের স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার চেষ্টার পর আজ শনিবার সকল ১১ টায় টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রবেশ মুখ নজরখালি বাঁধ ভেঙে গিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে পানি প্রবেশ করে।
নজরখালী বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেই অনায়াসেই টাঙ্গুয়ার হাওরে পানি ঢুকে টাঙ্গুয়ার হাওরে আশপাশের বেশ কয়েকটি হাওরের বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আসাদ জামান।
এদিকে নজরখালী বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে হাওরে পানি প্রবেশ করার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক নজরখালী বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মোঃ রায়হান কবির। তিনি বলেন, এটা মুলত টাঙ্গুয়ার হাওরে পানি ঢুকার প্রবেশ দার, এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন বাঁধ নয়। এই বাঁধটি স্থানীয় কৃষকদের দাবির মধ্যে আগে টাঙ্গুয়ার হাওর উন্নয়ন কমিটি কে দিয়ে করা হত। কিন্তু এবার তাদের দাবীর মাধ্যমেই স্থানীয় কৃষকদের মাধ্যমে পি আই সি করে উপজেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামান্য কিছু বরাদ্দ দিয়ে বাঁধটি করা হয়। তবে বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় নদীর পানি হাওরের প্রবেশ করছে। টাঙ্গুয়ার হাওরে পানি প্রবেশ করার কারণে আশপাশের বেড়িবাঁধ কোন ক্ষতি হবেনা বাঁধ ভাঙ্গার আশংকা মুক্ত থাকবে।
নজরখালী বেড়িবাঁধ এলাকার স্থানীয় কৃষক আহমেদ কবির বলেন, নজরখালী বেড়িবাঁধ মুলত টাঙ্গুয়ার হাওরে পানি ঢুকার প্রবেশ মুখ। এখান দিয়ে মুলত টাঙ্গুয়ার হাওরে পানি ঢুকে। হাওরের প্রবেশ মুখ হওয়ার কারণে এই বাঁধই প্রতিবছর হুমকি মধ্যে থাকে।
এবছর গত ১০/১২ দিন আকাশে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভারতের মেঘালয় থেকে সীমান্তে বিভিন্ন চড়া পাঠলাই নদীতে এসে পানি বৃদ্ধি পাওয়া পানি এই বাঁধের সমান সমান হয়ে যায়। পরে স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসী ৫/৬ দিন ধরে বাঁধটি ঠিকিয়ে রাকতে আপ্রাণ চেষ্টা করে।
কিন্তু আজ সকালে নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়া প্রথম বাঁধের উপর দিয়ে হাওরের পানি প্রবেশ করে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও কৃষকদের চেষ্টার পরও আমাদের চোখের সামনেই এই পানির চাপেই বাঁধটি ভেঙ্গে যায়।