সময় টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান অপূর্ব অপুকে অপহরণচেষ্টায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার মূল হোতা জিহাদুল ইসলাম জেহাদ, নূরে আলম ও হাবিবসহ বাকিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর ১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অপারেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন) এনামুল হক। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নগরীর কাউনিয়া এলাকার মৃত আ. বারেক সিকদারের ছেলে মামুন সিকদার ওরফে চিড়া মামুন, আ. বারেক হাওলাদারের ছেলে নুরুল মোমেন ওরফে কোটন, নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার মৃত আজিজ খানের ছেলে মাহমুদ ওরফে রিয়াজ।
এনামুল হক জানান, সাংবাদিক অপূর্বকে অপহরণচেষ্টা ঘটনার পরপরই কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা হয়। এরপর আমরা ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন সূত্র ধরে অভিযানে নামি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পটুয়াখালী জেলার মহিপুরে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনার কারণ এখনও সুনিশ্চিত হওয়া যায়নি জানিয়ে মূল হোতাদের ধরতে পারলে পুরো রহস্যের জট খুলবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে গ্রেফতারকৃতদের ছবি তুলতে গেলে তারা পুলিশের সামনেই চিত্র সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে। পরে ডিবি পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা শান্ত হয়। এর আগে ২৯ মে বিকাল ৩টায় সময় টেলিভিশনের বরিশাল অফিসে যাওয়ার পথে ব্যুরো প্রধান অপূর্ব অপুকে অপহরণচেষ্টা চালায় একদল সন্ত্রাসী।
এ ঘটনার পরপরই বরিশালসহ সারাদেশ সাংবাদিক সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদ শুরু করে। ঘটনার ৬ দিন পর ৩ জনকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে ডিবি পুলিশ। তবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে মূল অভিযুক্তরা। এমন কী হামলার পর অপহরণ চেষ্টার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিও জব্দ করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মনজুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে আসামিরা দাবি করেছেন-মুমীতু কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মামুন মল্লিক দৈনিক সময় সংবাদ নামে একটি পত্রিকার সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলেন তার ভবনে।
সেটি নিয়ে সাংবাদিক অপূর্বর সঙ্গে কথার কাটাকাটি হয় মামুনের। সেজন্য অপুকে হেনস্তা করতে মামুন নির্দেশ দেয় জেহাদ ও ট্যারা হাবিবকে। তবে বিষয়টি পুরো তদন্ত না করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
