প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মান উন্নয়নের জন্য সরকারি আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা চাই প্রতিবার যে, আইনগত কোনো জটিলতা আছে কি না, উনি (আইনমন্ত্রী) আমাদের ফাইলটি ফেরত পাঠিয়েছেন; কোনো আইনগত জটিলতা নেই। এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইলটি পাঠাব। তিনি সম্মতি দিলে আমরা একটি জিও (প্রজ্ঞাপন) করে পরবর্তী অ্যাকশনে যাব। সব কিছুরই প্রসেস চলছে।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলা ছিল, মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং তার নামে আরও কিছু মামলা আছে। কাজেই আদালতের যে সিদ্ধান্ত, সেই সিদ্ধান্তের বাইরে; আদালত একটি স্বাধীন সংস্থা, আপনারা জানেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই সিদ্ধান্তের বাইরে আমরা কোনো কিছু করিনি। কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতাবলে তাকে বাসায় থেকে সুচিকিৎসা নেয়ার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সাজাটা স্থগিত রেখে। এটাই হলো বর্তমান অবস্থা। আমাদের দেশে যারা আদালত থেকে অপরাধের দণ্ডপ্রাপ্ত হন, তারা যে নিয়মে চলে সে অনুযায়ী চলছে, এর ব্যত্যয় ঘটেনি,’ যোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি পূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস সবগুলো এজেন্সি একটি ছাতার নিচে, একটি কমান্ডে নিয়ে আসার। তাদের মাধ্যমে আমরা সব কিছু পরিচালনা করব। এটি আলোচনা পর্যায়ে আছে, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, ‘একেক দিন একেক এজেন্সি অভিযানে গেলে এই যে (রেস্তোরাঁ) ব্যবসাটা গড়ে উঠেছে, সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা চাই, ব্যবসাটা চালু থাকবে এবং এখানে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। আগুনে পোড়া মানুষের স্রোতটা যেন বন্ধ হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নকশাবহির্ভূত কেউ যদি কিছু করে থাকে, সেটার জন্য রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) করছে। ফায়ার সার্ভিস মাঠে আছে, তাদের নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে, সেই নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে কি না; সে জন্য ফায়ার সার্ভিস ব্যবস্থা নিচ্ছে। যখনই কোনো এজেন্সি ডাকছে, তাদের সহযোগিতার জন্য পুলিশ সেখানে যাচ্ছে। যে এজেন্সি অভিযান করছে, তাদের আঙ্গিকে করছে। সবাইকে একটি ছাতার নিচে এনে এককভাবে করা যায় কি না; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিন্তা করছে।